
ইতোমধ্যে সারা বিশ্ব জেনে গেছে পিএসজির প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়। সেটিও আবার ৫-০ গোলে। ইন্টার মিলানকে উড়িয়ে দেওয়ার রাতে অনেক রেকর্ড দেখেছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ম্যাচে যেসব রেকর্ড হয়েছে, তার মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে পিএসজি খেলেছে ১৬৮তম ম্যাচ (ইউরোপিয়ান কাপসহ)। সেই সঙ্গে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মাধ্যমে ট্রেবল শিরোপা জয় পিএসজির। ইউরোপের নবম ক্লাব হিসেবে ট্রেবল জিতেছে দলটি। অন্যদিকে ফরাসি দল হিসেবে এই কীর্তি প্রথম। এর আগে ১৯৯৩ সালে মার্শেইয়ের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর দ্বিতীয় ফরাসি ক্লাব হিসেবে এ প্রতিযোগিতা জিতল পিএসজি।
পিএসজি ফাইনাল ম্যাচে ইন্টার মিলানকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে এর আগে কোনো দল ৫-০ গোলের ব্যবধানে জেতেনি।
এ ছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথম তিন গোলে অবদান রাখা একমাত্র ফুটবলার এখন পিএসজির দেজিরে দুয়ের। আশরাফ হাকিমিকে দিয়ে প্রথম গোলটি করানোর পর নিজে দুই গোল করেছেন এ ফরোয়ার্ড। দেজিরে দুয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কম বয়সি খেলোয়াড়। ১৯ বছর ৩৬২ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি গড়েন। গত বছরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলা জুড বেলিংহামের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি (২০ বছর ৩৩৮ দিন)।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলে আশরাফ হাকিমির অবদান আছে ৯টি (৪ গোল, ৫ অ্যাসিস্ট), যা একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুমে কোনো ডিফেন্ডারের সর্বোচ্চ গোলে অবদানের যৌথ রেকর্ড। এর আগে ইয়ান হার্ট ২০০০-০১ মৌসুমে ৯ গোল করে সেই অবদান রেখেছিলেন। সেই সঙ্গে হাকিমি ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে নিজের সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করা প্রথম খেলোয়াড়।
পিএসজির হয়ে ফাইনালে গোল করেছেন মাইয়ুলু (১৯) ও দেজিরে দুয়ের (১৯), যা ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালে একাধিক টিনএজ খেলোয়াড়ের গোলের রেকর্ড।
এদিকে ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে দুবার ট্রেবল জয়ী হওয়া মাত্র দ্বিতীয় কোচ লুইস এনরিকে। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে তিনি এ কীর্তি গড়েছিলেন। আর এই অর্জনে তার সঙ্গে আছেন শুধু পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা ২০০৮-০৯ ও ম্যানচেস্টার সিটি ২০২২-২৩)।
অন্যদিকে রিয়ালের পর ইন্টার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ৫ গোল হজম করা প্রথম দল ইন্টার মিলান। সর্বশেষ এমনটি দেখা গেছে ১৯৬২ সালে, তখন চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। সেই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছিল বেনফিকা।
ইন্টার মিলান চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ইতিহাসে প্রথম দল, যারা তাদের শুরুর একাদশে ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সি তিনজন খেলোয়াড়কে একসঙ্গে মাঠে নামিয়েছিল। সেই তিন ফুটবলার হলেন—ইয়ান সমার, ফ্রানচেস্কো অ্যাকারবি এবং হেনরিখ মিখিতারিয়ান।