
কয়েকটি কারণ এসেছিল সামনে। নাজমুল হোসেন শান্ত সরাসরি কিছু বলেননিও। তার টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে বিসিবিও কিছু বলেনি। অবশেষে খোলাশা করেছেন খোদ শান্তই। টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন, ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতেই তার এমন সিদ্ধান্ত।
গত ডিসেম্বরে কুড়ি কুড়ির ফরম্যাটের দায়িত্ব ছাড়েন শান্ত। এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ভার পড়েছে লিটন দাসের কাঁধে। বাকি দুই ফরম্যাটেও অধিনায়কত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিসিবি চাইছে অন্তত টেস্টে নেতৃত্ব চালিয়ে যাক শান্ত। টাইগার ব্যাটারও বিষয়টি মেনে নিয়েছেন।
আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে পূর্ণ সিরিজ সামনে রেখে শান্ত শুনিয়েছেন টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কারণ, ‘টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার পেছনে একটা কারণ ছিল যে আমি নিজে থেকেই ক্রিকেট বোর্ডকে জানিয়েছিলাম। আমি আর অধিনায়কত্ব করতে চাই না, এই ফরম্যাটে। আমার নিজের ব্যাটিংটাতে একটু সময় দিতে চাচ্ছিলাম। কারণ আমাদের এত খেলা হচ্ছে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি।’
শান্তর অধীনে দল অপেক্ষাকৃত ভালো করছিল। কিন্তু তার ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। বিশেষ করে ছোট ফরম্যাটের ক্রিকেটে ব্যর্থতার বৃত্তে ছিলেন টাইগার কাপ্তান। ব্যাটিংয়ে উন্নতির কারণেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত।
টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে একটু কঠিন হচ্ছিল। তো ওই কারণে বোর্ডকে অনুরোধ করেছিলাম টি-টোয়েন্টিতে না থাকতে। ব্যাটিংটাতে আরো ফোকাস দিতে, যে কারণে ব্যাটিংটাতে আরো...দলের জন্য কনট্রিবিউট করতে পারি। ওই জায়গায় আমার মনে হয় সামনে যদি সুযোগ আসে আমি আরো ভালোভাবে কন্ট্রিবিউট করতে পারব।’
সমালোচনার মুখে গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় শান্ত জানান, তিনি কোনো ফরম্যাটেই আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। কিন্তু বিসিবি তাকে ছাড়তে চায়নি। এখন টেস্টের দায়িত্ব পালন করবেন শান্ত।