ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখে গ্রেটা থুনবার্গ, দখলদার ইসরায়েলের হুমকি

ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখে গ্রেটা থুনবার্গ, দখলদার ইসরায়েলের হুমকি

ত্রাণ নিয়ে গাজা অভিমুখে রওনা দিয়েছেন সুইডিশ পরিবেশ কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। কিন্তু ইসরায়েল জানিয়েছে, ‘আমরা প্রস্তুত। প্রয়োজনে এই  যাত্রায় বাধা দিতে পারি।’

এদিকে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী থুনবার্গ এবং অন্যান্য সাহায্য কর্মীদের বহনকারী জাহাজে বিশেষ বাহিনীর অভিযানের হুমকি দিয়েছে। ২২ বছর বয়সী গ্রেটা রবিবার ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন পরিচালিত একটি ছোট জাহাজ ম্যাডলিনে চড়ে যাত্রা শুরু করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য দুধ, চাল, প্রোটিন বার এবং টিনজাত খাবারের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বহন করছে এই জাহাজটি। 

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই অভিযানের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সতর্ক করে দিয়েছে যে, তারা ‘প্রস্তুত’ এবং জাহাজটি যাতে গাজায় পৌঁছাতে না পারে তার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে''।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নৌবাহিনী ইসরায়েলের সামুদ্রিক স্থান এবং সমুদ্র সীমান্ত রক্ষার জন্য দিনরাত কাজ করে। আমাদের যা করার আমরা তাই করবো।

২ জুন সিসিলি থেকে রওনা হওয়া ম্যাডলিন, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার অংশ। এটি একটি অহিংস আন্তর্জাতিক আন্দোলন যা ২০১০ সাল থেকে ইসরায়েলি অবরোধের প্রতিবাদে এবং মানবিক ত্রাণ বিতরণের জন্য গাজায় জাহাজ পাঠিয়ে আসছে। 

থুনবার্গ জাহাজ  থেকে কেফিয়ে স্কার্ফ পরা এবং ফিলিস্তিনি পতাকা ধারণ করে ছবি শেয়ার করেছেন, এই যাত্রাকে সংহতির একটি পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার অংশগ্রহণ এই মিশনে উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক আকর্ষণ পেয়েছে ।প্রস্থানের কিছুক্ষণ পরে, জাহাজে থাকা আরও ১১ জন কর্মীর মধ্যে কয়েকজনকে ড্রোন দ্বারা অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পরে জানা যায় তারা ইসরায়েলি সেনা নয় , গ্রীক উপকূলরক্ষী বাহিনী। 

মে মাসের গোড়ার দিকে, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের আরেকটি জাহাজ, ‘কনসায়েন্স’ মাল্টার কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কর্মীরা সন্দেহ করছেন যে, এটিতে ইসরায়েলি ড্রোন দ্বারা আঘাত করা হয়েছে, যদিও ইসরায়েল সেকথা উড়িয়ে দিয়েছে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন বলে যে তাদের লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ এবং মানবিক। ইসরায়েল সম্প্রতি গাজার উপর থেকে অবরোধ শিথিল করেছে, কিন্তু সাহায্যকারী গোষ্ঠীগুলো বলছে যে ত্রাণের প্রবাহ এখনও অপর্যাপ্ত। জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গাজায় খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য আরও জোরদার আহ্বান জানিয়ে আসছে, সেখানে  চলমান সংঘাতের ফলে বেসামরিক দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।